fbpx

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ জনসংখ্যার বিস্তারিত গণনার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত দেশের ষষ্ঠ জাতীয় আদমশুমারি। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তত্ত্বাবধানে ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজা ও নেত্রকোণা জেলায় বন্যা থাকায় ২৮ জুন ২০২২ পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম চলমান ছিল। তবে উক্ত আদমশুমারিতে সংগৃহীত তথ্যের মানদণ্ড হিসেবে ১৫ জুন ২০২২ তারিখটি ব্যবহৃত হয়েছে। দশ বছর পর পর আদমশুমারি হওয়ার ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালের পর ২০২১ সালে এই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী, সিলেটে বন্যা এবং সরঞ্জামের অভাবের কারণে সৃষ্ট জটিলতার ফলে এই আদমশুমারি বিলম্বিত হয়েছে।

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২

(সংক্ষিপ্ত ফলাফল)

জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন
পুরুষ ৮ কোটি ১৭ লক্ষ ১২ হাজার ৮২৪
নারী ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ২০৬
তৃতীয় লিঙ্গ ১২ হাজার ৬২৯
বাসগৃহ মোট বাসগৃহের সংখ্যা ৩৫,৯৯০,৯৫১ টি
পল্লী এলাকায় ২৭,৮১১,৬৬৭টি
শহর এলাকায় ৮,১৭৯,২৮৪টি
সর্বাধিক বাসগৃহ ঢাকা বিভাগে ৮,১১৯,২০৫ টি



১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭৪, ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। দেশের সর্বশেষ আদমশুমারি ছিল ২০১১ সালের আদমশুমারি। তখন দেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ১৪ কোটি ৪০ লাখ নথিবদ্ধ করা হয়েছিল। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে এটি প্রকৃত জনসংখ্যার চেয়ে কম। তাদের অনুমান অনুসারে সেসময় বাংলাদেশের প্রকৃত জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৮ লক্ষ ছিল।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের পরবর্তী আদমশুমারি পরিচালনার কথা ছিল। সেই লক্ষ্যে ২০১৮ সালে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়। পরের বছর অক্টোবরে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি প্রকল্পটির জন্য ১,৭৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করে। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) আদমশুমারি পরিচালনা করতে না পারায় প্রাথমিকভাবে ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্থগিত করে।

২০২১ সালের জুন মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো ২০১৮ সালের মাস্টার প্ল্যানে পরিবর্তন করে প্রচলিত পদ্ধতির বদলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আদমশুমারি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে কার্যক্রমের ব্যয় ১১% কমিয়ে ১,৫৭৫ কোটিতে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আশা করা হয়েছিল। অক্টোবর আসলেও ট্যাব কেনাকাটার জটিলতার কারণে তৃতীয় দফার সময় পিছানো হয়।

২০২২ সালের মার্চের আগ পর্যন্ত সরঞ্জাম সম্পর্কিত জটিলতা অব্যাহত ছিল এবং মার্চে সরকার প্রয়োজনীয় ট্যাবলেট কেনার অনুমোদন দেয়। পরের মাসে পরিসংখ্যান ব্যুরো আদমশুমারির জন্য নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে। 

প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ পদ্ধতি

বাংলাদেশের ২০২২ সালের আদমশুমারির জন্য ৩,৭০,০০০ গণনাকারী নিয়োগ করা হয়। প্রথমবারের মতো ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা (জিআইএস ম্যাপিং), ট্যাবলেট কম্পিউটার এবং তথ্য-উপাত্ত নথিবদ্ধ করার জন্য একটি কম্পিউটার-সহায়ক ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকার ব্যবস্থা ব্যবহারের কারণে এটিই দেশের প্রথম ডিজিটাল আদমশুমারি। এই কার্যক্রমের নির্ভুলতা নিশ্চিত করার জন্য ৩৫০ টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় আদমশুমারি-পরবর্তী একটি জরিপ পরিচালনা করা হবে। পুরো আদমশুমারি প্রক্রিয়াটি ২০২২ সালের ১৫ জুন থেকে ২১ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। তবে ১৫ জুন ২০২২ মধ্যরাতের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।এই শুমারিতে ৩ লাখ ৬৫ হাজার গণনাকারী ও ৬৩ হাজার সুপারভাইজার ছিল।



জনশুমারি ও গৃহগণণা ২০২২ (বিস্তারিত ফলাফল)

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক ফলাফল ২৭ জুলাই ২০২২ তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পরিসংখ্যন ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে শুমারি মুহূর্তে (১৪ জুন ২০২২ দিবাগত রাত ১২.০০ টায়) দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬,৫১,৫৮,৬১৬ জন যার মধ্যে মোট পুরুষের সংখ্যা ৮১,৭১২,৮২৪ জন মহিলার সংখ্যা ৮৩,৩৪৭,২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ১২,৬২৯ জন। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের শুমারিতে ১৭,৫০৭টি খানার ৮৫,৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। তাই মোট জনসংখ্যা ও লিঙ্গভিত্তিক জনসংখ্যার মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এছাড়া, প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে সর্বমোট বাসগৃহের সংখ্যা ৩৫,৯৯০,৯৫১ টি যার মধ্যে পল্লী এলাকায় ২৭,৮১১,৬৬৭টি এবং শহর এলাকায় ৮,১৭৯,২৮৪টি। সর্বাধিক বাসগৃহের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে (৮,১১৯,২০৫ টি) এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে (১,৮৮৫,০১৭ টি)।

১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম আদমশুমারিতে (বর্তমানে জনশুমারি) গণনাকৃত জনসংখ্যা ছিল ৭,১৪,৭৯,০৭১ জন যা ৫০ বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এবারের শুমারি অনুযায়ী সর্বাধিক জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে ৪৪,২১৫,১০৭ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ২,২৪,৫৯,৮২২ জন, ২,১৭,২১,৫৫৬ জন ও ৪,৫৭৭ জন এবং সর্বনিম্ন জনসংখ্যা বরিশাল বিভাগে ৯১,০০,১০২ জন যার মধ্যে পুরুষ, মহিলা ও হিজড়ার সংখ্যা যথাক্রমে ৪,৪৩৬,৭৫০ জন, ৪,৬৫৮,৪২১ জন ও ৫৬৩ জন। জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুয়ায়ী সর্বোচ্চ জনসংখ্যা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ৫৯,৭৯,৫৩৭ জন এবং সর্বনিম্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৪,১৯,৩৫১ জন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সর্বাধিক ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৩৯,৩৫৩ জন) এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশন সর্বনিম্ন ঘনবসতিপূর্ণ (প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩,৪৪৪ জন)।

১৯৭৪ সালে লিঙ্গানুপাত ছিল ১০৮ এবং যা হ্রাস পেয়ে ১৯৮১-২০০১ পর্যন্ত ১০৬ এ স্থির ছিল। পরবর্তীতে ২০১১ সালে লিঙ্গানুপাত আরো হ্রাস পেয়ে ১০০.৩ এবং ২০২২ সালে দাঁড়ায় ৯৮.০৪ যা এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন। অর্থাৎ, বর্তমানে প্রতি ১০০ জন মহিলার বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮ জন। বিভাগভিত্তিক লিঙ্গানুপাত পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে লিঙ্গানুপাত সর্বোচ্চ (১০৩.৪০) এবং চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বনিম্ন (৯৩.৩৮)।

জনসংখ্যা পরিবর্তনে তারতম্য পরিলক্ষিত হলেও শতকরা হারে জনসংখ্যার বৃদ্ধি পূর্বের শুমারি বছরের তুলনায় ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ ও ২০২২ সালে জনসংখ্যার গড় বার্ষিক বৃদ্ধির হার ছিল যথাক্রমে ২.৮৪%, ২.০১%, ১.৫৮%, ১.৪৬% ও ১.২২%। বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার লক্ষ করলে দেখা যায় যে, ২০২২ সালে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (১.৭৪%) এবং বরিশাল বিভাগে সর্বনিম্ন (০.৭৯%) ।



১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব ছিল ৪৮৪ জন যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯৮১ সালে ৫৯০ জন, ১৯৯১ সালে ৭২০ জন, ২০০১ সালে ৮৪৩ জন, ২০১১ সালে ৯৭৬ জন এবং সর্বশেষ ২০২২ সালে ১,১১৯ জনে উপনীত হয়েছে। বিভাগভিত্তিক জনসংখ্যার ঘনত্ব লক্ষ করলে দেখা যায়, জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (২,১৫৬ জন) এবং সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে (৬৮৮ জন)।

দেশে ১০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী জনসংখ্যার ২৮.৬৫% অবিবাহিত এবং ৬৫.২৬% বর্তমানে বিবাহিত। বর্তমানে বিবাহিত সংখ্যার হার রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ (৬৮.৯৭%) এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন (৫৫.৫৯%)।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ৯১.০৪% মুসলমান, ৭.৯৫% হিন্দু, ০.৬১% বৌদ্ধ, ০.৩০% খ্রিষ্টান এবং ০.১২% অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। পক্ষান্তরে ২০১১ সালে ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যার এ হার ছিল যথাক্রমে ৯০.৩৯%, ৮.৫৪%, ০.৬২%, ০.৩১% ও ০.১২%। এছাড়া, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার সর্বোচ্চ ১.০০%। পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার ১.০১% এবং মহিলার ক্ষেত্রে ০.৯৯%। চট্টগ্রাম বিভাগের মোট জনসংখ্যার ২.৯৯% ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী যা সকল বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ এবং এ হার বরিশাল বিভাগে ০.০৫% যা সর্বনিম্ন।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ২৩,৬১,৬০৪ জন (১.৪৩%) এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। মোট পুরুষের ১.৬৩% এবং মোট মহিলার ১.২৩% এর কমপক্ষে এক ধরনের প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (১.৭৭%) এবং সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (১.০৮%)। পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রেই সর্বাধিক প্রতিবন্ধিতা রয়েছে খুলনা বিভাগে (পুরুষ ২.০৩% ও মহিলা ১.৫২%) এবং উভয় ক্ষেত্রেই সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধিতা রয়েছে ঢাকা বিভাগে (পুরুষ ১.১৯% ও মহিলা ০.৯৫%)।

২০২২ সালে বাংলাদেশে মোট (পুরুষ ও মহিলা) সাক্ষরতার হার (৭ বছর ও তদূর্ধ্ব) ৭৪.৬৬%, যা পল্লী এলাকায় ৭১.৫৬% এবং শহর এলাকায় ৮১.২৮%। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায় পুরুষের সাক্ষরতার হার ৭৬.৫৬%, মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৭২.৮২% এবং হিজড়াদের সাক্ষরতার হার ৫৩.৬৫%। মোট সাক্ষরতার সর্বোচ্চ হার ঢাকা বিভাগে ৭৮.০৯% এবং সর্বনিম্ন হার ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৭.০৯%। ২০১১ সালে মোট সাক্ষতার হার ছিল ৫১.৭৭% যার মধ্যে বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে বরিশাল বিভাগে সর্বোচ্চ (৫৬.৭৫%) এবং সিলেট বিভাগে সর্বনিম্ন (৪৫.০১%) হার পাওয়া যায়।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ প্রতিবেদন অনুযায়ী মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ (পাঁচ) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৫৫.৮৯% এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৭২.৩১% জনসংখ্যার নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫ (পাঁচ) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৬৬.৫৩% পুরুষের ও ৪৫.৫৩% মহিলার এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৮৬.৭২% পুরুষের ও ৫৮.৮৩% মহিলার নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে নিজ ব্যবহারের মোবাইল ফোন রয়েছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন সিলেট বিভাগে।



২০২২ সালে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ (পাঁচ) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে মোট ৩০.৬৮% এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৭.০১% জনসংখ্যা গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৫ (পাঁচ) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৮.০২% পুরুষের ও ২৩.৫২% মহিলার এবং ১৮ (আঠারো) বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৪৬.৫৩% পুরুষের ও ২৮.০৯% মহিলা গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে পরিলক্ষিত হয়, উভয় শ্রেণির বয়সীদের মধ্যে গত তিন মাসে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে এমন জনসংখ্যা সর্বাধিক ঢাকা বিভাগে এবং সর্বনিম্ন রংপুর বিভাগে।

প্রকাশিত প্রাথমিক প্রতিবেদন মোতাবেক দেশে বস্তি খানা ও ভাসমান খানায় বসবাসরত জনসংখ্যা যথাক্রমে ১৮,০০,৪৮৬ জন ও ২২,১৮৫ জন এবং বস্তি খানা ও ভাসমান খানা ব্যতীত অন্যান্য খানায় বসবাসরত জনসংখ্যা ১৬,৩৩,৩৫,৯৪৫ জন। বস্তিতে বসবাসরত জনসংখ্যা এবং ভাসমান লোকের সংখ্যা ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (যথাক্রমে ৮,৮৪,৪৯৬ জন ও ৯,৪৭০ জন)। পক্ষান্তরে ময়মনসিংহ বিভাগে বস্তিতে বসবাসরত জনসংখ্যা এবং ভাসমান লোকের সংখ্যা সর্বনিম্ন (যথাক্রমে ৩৬,৪৯১ জন ও ৬৯৬ জন)। মডিফাইড ডি-ফ্যাক্টো পদ্ধতিতে ১৪ জুন ২০২২ দিবাগত রাত ১২.০০ ঘটিকাকে (জিরো আওয়ার) শুমারি মুহূর্ত নির্ধারণ করে সে সময় থেকে ১৫ জুন ভোর ৬.০০টা পর্যন্ত ভাসমান/ছিন্নমূল জনগণকে গণনা করা হয়। দেশে মোট ভাসমান জনসংখ্যা ২২,১১৯ জন যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৬,৭৮৪ জন ও মহিলার সংখ্যা ৫,৩৩৫ জন। বিভাগভিত্তিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ভাসমান জনসংখ্যা ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ (৯,৪৩৯ জন) এবং ময়মনসিংহ বিভাগে সর্বনিম্ন (৬৯২ জন)।

একনজরে সকল আদমশুমারি

সাল জনসংখ্যা
১৯৭৪ ৭ কোটি ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার ৭১ জন
১৯৮১ ৮ কোটি ৭১ লক্ষ ১৯ হাজার ৯৬৫ জন
১৯৯১ ১০ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৯২ জন
২০০১  ১২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ২৬৩ জন
২০১১ ১৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন
২০২১ (২২*) ১৬ কোটি ৫১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন



অন্যান্য আর্টিকেল



Spread the love

Back to top button
Don`t copy text!