fbpx

কলেজ রিভিউ – মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজ

মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজটি রাজধানীর মূলকেন্দ্রে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিবেদিতপ্রাণ কতিপয় শিক্ষানুরাগীর সমন্বয়ে গঠিত ‘বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’- এর  প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত এক আদর্শ বিদ্যাপীঠ। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি লাভ করেছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে দুবার ‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়ে এটি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিগত কয়েক বছর যাবৎ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা ভাল ফলাফল অর্জন করে কৃতিত্বের  পরিচয় দিয়েছে। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একটি শিশু প্লে-গ্রুপশ্রেণিতে ভর্তি হয়ে নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাঠ শেষ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যারয়, মেডিকেল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করে কর্মজীবনে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মধ্যে সুনাগরিকসুলভ ব্যক্তিত্ব, উদারতা, শৃঙ্খলা, সত্যনিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও আধুনিক মন-মানসিকতা বিকশিত করে তোলাই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে অভিভাবক-অভিভাবিকাগণের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি বিদ্যার্থীকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো সম্ভব।

ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা ক্যাম্পাস সংবলিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে।

 

অবস্থান:

১৫/১, ইকবাল রোড, মোহাম্মাদপুর
ঢাকা ১২০৭,বাংলাদেশ

কলেজের অবস্থান (বালিকা শাখা)

সম্ভ্রান্ত আবাসিক এলাকা মোহাম্মদপুর ‘এ’ ব্লকের ইকবাল রোডে মনোরকম পরিবেশে কলেজটি অবস্থিত। কলেজে আসার জন্য চারদিকে রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। দক্ষিণে আসাদ অ্যাভিনিউ, উত্তরে স্যার সৈয়দ রোড, পূর্বে মিরপুর রোড এবং পশ্চিমে ইকবাল রোড। রিক্সা, বাস, সিএনজি, ট্যাক্সি ক্যাব, টেম্পো ও মিশুক পরিবহন করে সহজে কলেজে যাতায়াত করা যায়। তিন বিঘা জমির উপরে অধুনানির্মিত সুদৃশ্য কলেজভবন সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। চারদিকে উঁচু দেয়াল বেষ্টিত ক্যাম্পাসের উন্মুক্ত অঙ্গনে পাশাপাশি খেলাধুলা ও আনন্দোৎসব করে আধুনিক এবং একবিংশ শতাব্দীর উপযোগী শিক্ষাদানের জন্য সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, কম্পিউটার ল্যাবরেটরি, অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি, প্রশস্ত শীতাতাম নিয়ন্ত্রিত অডিটোরিয়াম, উন্মক্ত খেলার মাঠ এবং সুপ্রশস্ত জিমনেসিয়ামের ব্যবস্থা আছে।

কলেজের অবস্থান (বালক শাখা)

অভিজাত আবাসিক এলাকা মোহাম্মদপুর ‘এ’ ব্লকের আসাদ অ্যাভিনিউর মনোরম পরিবেশে এই কলেজ অবস্থিত।এখানে ্সার  জন্য সকল দিকে রয়েছে প্রশস্ত রাস্তা। সামনে আসাদ অ্যাভিনিউ, উত্তরে ইকবাল রোড ও স্যার সৈয়দ রোড, পূর্বে মিরপুর রোড। রিক্সা, বাস, টেম্পো, সিএনজি চালিত অটো কিংবা ট্যাক্সি ক্যাবে করে সহজে কলেজে যাতায়াত করা যায়। ৯,০০০ বর্গফুট জমির উপরে অধুনা নির্মিত সুদৃশ্য কলেজ ভবন সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করে। চারিদিকে দেয়াল বেষ্টিত  প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে নিরিবিলি ও নিরাপদ পরিবেশে কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

ইতিহাস:

১৯৭৬ সালের বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৩ সালে মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি গার্লস কলেজে একাদশ শ্রেণী চালু করা হয়। ২০০৪ সালে ৩/৩ আসাদ অ্যাভিনিউতে কলেজ শাখা চালু করা হয়।

 

আবেদনের নূন্যতম যোগ্যতা, আসন, সময়সূচি, টোটাল খরচ, হেল্পলাইন সবকিছু নিচের ছবিতে রয়েছেঃ

কলেজের সুযোগ সুবিধা সমূহ:

আর্থিক সুবিধা:

বোর্ড পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ -৫ প্রাপ্ত সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাসিক ৫০০/- টাকা মেধা বৃত্তি প্রদান করা হবে।

 

চিকিৎসা ব্যবস্থা :

কলেজের উভয় শাখায় সার্বক্ষণিক একজন করে ডাক্তার আছেন। শিক্ষার্থীদের আকস্মিক অসুস্থতায় তিনি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা  সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রয়োজনীয় উপদেশ দেন। কলেজে একটি প্রাথমিক চিকিৎসালয় এবং পরিচর্যা কেন্দ্রও আছে।

কম্পিউটার ল্যাব :

অত্র প্রতিষ্ঠানে আধুনিক কম্পিউটার সমৃদ্ধ সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অত্যাধুনিক কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী এতে উপকৃত হচ্ছে। এখানে  ওভার হেড প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন বিষয়ে ডিজিটাল ক্লাসও গ্রহণ করা হয়।

 

ক্যান্টিন :

প্রতিষ্ঠানে রুচিসম্মত ক্যান্টিন রয়েছে। এ ক্যান্টিন শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণ করে। এখানে স্ন্যাকস, কোল্ড ড্রিংকসহ উন্নত মানের খাবার পাওয়া যায়। খাবারের মানের উপর কর্তৃপক্ষ সবসময় দৃষ্টি রাখেন।

 

কমনরুম :

খেলাধুলা, ম্যাগাজিন ও আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ একটি মনোরম কমনরুমে শিক্ষার্থীরা তাদের অবসর সময় কটাতে পারে।

গবেষণাগার :

কলেজে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং আইসিটির অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি আছে। ল্যাবরেটরিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক উন্নতমানের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ রয়েছে ব্যবহারিক ক্লাস সুষ্ঠুভাবে করার জন্য ছাত্রদের ছোট ছোট গ্রুপে বিভক্ত করে ক্লাস নেওয়া হয়।

জিমনেসিয়াম :

শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য একটি আধুনিক জিমনেসিয়াম আছে। এটি রানিং মেশিন, ওয়েট লিফটার, এবকিং, সাইকেলিং, স্কিপিং এবং আরো আধুনিক যন্ত্রে সজ্জিত। এখানে ছাত্ররা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য শরীরচর্চা করতে পারে।

অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি:

শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ও অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের লক্ষ্যে নিয়মিত অর্থ-বার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক পরীক্ষার পূর্বে কমপক্ষে তিনটি করে শ্রেণি পরীক্ষা নেয়া হয় এবং শ্রেণি  পরীক্ষার নম্বর অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষার সাথে যোগ করে ফলাফল তৈরি করা হয়। প্রাক-নির্বাচনি ও নির্বাচনি পরীক্ষার পর দুটি মডেল টেস্ট নেয়া হয়ে থাকে।

 

সুস্থ দেহ সুস্থ মন:

শিক্ষার্থীদের সুস্বাস্থ্যের দিকে দৃষ্টি রেখে আন্তঃখেলাধুলা, হ্যান্ডবল, ভলিবল, ক্রিকেট, ফুটবল, ক্যারাম, টেবিল টেনিস ও শরীরচর্চা শেখানো হয়। জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আন্তঃকলেজ প্রতিযোগিতায় এখানকার শিক্ষার্থীরা নিয়মিত অংশগ্রহণ করে থাকে।

 

জেনারেটর ও লিফট:

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সর্বক্ষণিক জেনারেটরের ব্যবস্থা আছে। শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের ওঠা-নামার জন্য উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন লিফট আছে।

 

কলেজের নিয়ম-শৃঙ্খলা:

কলেজের ঐতিহ্য, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার আদর্শ পরিবেশ বজায় রাখা শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও কর্মচারীদের সমন্বিত বেশ কিছু নিয়ম-শৃঙ্খলা ও আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করে। তাই কলেজের প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য নি¤েœ বর্ণিত নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা বাধ্যতামূলক:

 

ক. পোশাক

কলেজ কর্তৃক নির্ধারিত  পোশাক ও আইডেনটিটি কার্ড অবশ্যই পরিধান করে কলেজে আসতে হয়। নির্ধারিত ড্রোস ও আইডেনটিটি কার্ড ব্যতীত কোনো শিক্ষার্থীকে কলেজে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না।

 

খ. কলেজে নিয়মিত উপস্থিতি বাধ্যতামূলক

কলেজে নিয়মিত উপস্থিতি সকল শিক্ষার্থীর জন্য বাধ্যতামূলক। তবে শারীরিক অসুস্থতা ও অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য কারণে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে দরখাস্ত প্রদান করতে হয়।

 

গ.  ছুটি

বিশেষ বিবেচ্য কারণে প্রকৃত অভিভাবকের আবেদনক্রমে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ ৫ দিন ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে। তবে পরীক্ষা চলাকালীন সময় তা প্রযোজ্য হবে না।

 

ঘ. ক্লাস চলাকালীন সময়

ক্লাস চলাকালীন কোনো শিক্ষার্তী কমনরুম, অডিটোরিয়াম, ক্যান্টিন কিংবা অন্য কোথাও থাকতে পারবে না। এ সময় কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী কলেজ-ক্যাম্পাস ত্যাগ করতে পারবে না।

 

ঙ. শৃঙ্খলা:

নিম্নোক্ত যে কোনো কারণে পূর্ব সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া যে কোনো শিক্ষার্থীর কলেজ হতে ভর্তি বাতিল করা হবে।

১. পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন                     ২. শ্রেণিকক্ষে শৃঙ্খলা ভঙ্গ।

৩. বিনা অনুমতিতে কলেজ প্রাঙ্গন ত্যাগ       ৪. সংশ্লিষ্ট কারো সাথে অসদাচরণ

ওয়েবসাইট:

mpsc.edu.bd

অধ্যক্ষ:

মোঃ বেলায়েত হোসেন

 

Spread the love

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
Don`t copy text!