fbpx

সাবজেক্ট রিভিউঃ মেরিন ফিশারিজ।

বাংলাদেশের একমাত্র মেরিটাইম রিলেটেড বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বর্তমানে চারটি ফ্যাকাল্টির অধীনে পাঁচটি ডিপার্টমেন্টের একাডেমিক কার্যক্রম চলছে। আজকের এই লেখায় আমরা আলোচনা করবো মেরিন ফিশারিজ সাবজেক্টটি নিয়ে।

আগের পর্বের আমাদের সাবজেক্ট রিভিউটি ছিল পোর্ট ম্যানেজমেন্ট এন্ড লজিস্টিকস নিয়ে।

ইতিমধ্যেই আমরা জানি BSMRMU এর ২০২০-২১শিক্ষাবর্ষের সার্কুলার প্রকাশিত হয়েছে। মেরিন ফিশারিজের দ্বিতীয় ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে এ বছর। সাবজেক্টটি অনেকের কাছে নতুন হওয়ায় এর শিক্ষা পদ্ধতি, ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি, ক্যারিয়ার স্পষ্ট না। সেটাই স্পষ্ট করার চেষ্টা থাকবে।

বিএসসি ইন মেরিন ফিশারিজ সাবজেক্টটি ফ্যাকাল্টি অব আর্থ এন্ড ওশান সায়েন্সের আন্ডারে। এই ফ্যাকাল্টিতে আরেকটি সাবজেক্ট রয়েছে বিএসসি ইন ওশানোগ্রাফি। দুটি সাবজেক্টের জন্য পরীক্ষা একটাই হবে। মেধাক্রম এবং চয়েজের প্রায়োরিটি অনুযায়ী একজন পরীক্ষার্থী যেকোনো একটি সাবজেক্ট বাছাই করতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের সময়সীমাঃ ১এপ্রিল-২৫এপ্রিল।

আবেদন ফিঃ ৭০০টাকা।

আবেদন করবেন যেখানেঃ applyonline.bsmrmu.edu.bd

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র যেসব স্থানেঃ ১. ঢাকা ২. চট্টগ্রাম ৩. রংপুর ৪. খুলনা।

আবেদনের যোগ্যতাঃ

(ক) বিজ্ঞান শাখা হতে উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের এবং মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম G.P.A-4.00 সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।

(খ) উচ্চ মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞান এ পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে যেকোন ২টিতে “A” Grade এবং অন্যান্য সকল বিষয়ে ন্যূনতম “B” Grade থাকতে হবে।

(গ) ইংরেজি মাধ্যম এ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে-0-Level এ গণিত, পদার্থবিজ্ঞান এবং রসায়ন সহ ন্যূনতম পাঁচ (০৫) টি বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে। দুই (০২) এর অধিক বিষয়ে “C” Grade আবেদনকারীর অযােগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

A-Level এ গণিত, জীববিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞানসহ ন্যূনতম তিন (০৩) টি বিষয়ে কৃতকার্য হতে হবে। একের অধিক “C” Grade আবেদনকারীর অযােগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হবে।

ভর্তি পরীক্ষা হবে যেসব বিষয়েঃ ইংরেজি, গনিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জীববিজ্ঞান।

পরীক্ষার পদ্ধতিঃ নৈর্ব্যক্তিক এবং সংক্ষিপ্ত রচনামূলক।

সময়ঃ ৯০মিনিট। পূর্ণমানঃ ১০০.

মেরিন ফিশারিজ এমন একটি বিষয় যেখানে সাগরের মৎস্যসম্পদ নিয়ে পড়াশুনা করা হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে “ফিশারিজ” বিষয়টি পড়ানো হলেও “মেরিন ফিশারিজ” বিষয়টি একদমই নতুন ভাবে শুরু হচ্ছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমাদের দেশে বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমি তে ক্যাডেটদের মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টে এই বিষয়টি পড়ানো হয়। যেহেতু ফিশারিজ একাডেমি  সম্পুর্ণ আলাদা একটি বিষয় তাই আমি ঐদিকে আলোচনা করছি না।

  • এই বিষয়টিতে কেন পড়বো???

ব্লু ইকোনোমিতে মেরিন ফিশারিজ বা সামুদ্রিক মৎস্যবিজ্ঞান একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয়। সুবিশাল আয়তনের সমুদ্র সম্পদের মধ্যে মৎস্যসম্পদ নিয়ে গবেষনা এবং এই সম্পদ আহরণের ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান এবং লোকবল বাংলাদেশের নাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরিন ফিশারিজ ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের আসল উদ্দেশ্য থাকবে সে লোকবল ও জ্ঞানের সংকট দূর করা। মেরিটাইম দৃষ্টিভঙ্গিতে চিন্তা করলে ব্যাপক সম্ভাবনা আছে এই বিষয়টির।

  • কি কি পড়ানো হবে???

একবার চিন্তা করো তুমি পড়াশুনা করছো সাগরের নীল জলরাশির গভীরে বিচরণ করা হাজার প্রজাতির মৎস্যসম্পদ নিয়ে। আমাদের সাগরের পানির নিচের এই প্রাণি গুলোর বৈচিত্রময় জীবন নিয়ে, তাদের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য নিয়ে, এই মৎস্যসম্পদ আহরণ, ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশুনা তোমাকে করতে হবে।

যেহেতু এটি একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয় তাই এখানে তোমাকে পড়তে হবে সামুদ্রিক এবং স্বাদু পানির মাছের জীবনপ্রক্রিয়া নিয়ে, সমুদ্রবিজ্ঞান, আবহাওয়াবিজ্ঞান, একুয়াকালচার, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও আহরণ সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া, সামুদ্রিক ও স্বাদু পানির বাস্তুসংস্থান, সামুদ্রিক অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, প্রোগ্রামিং, স্যাটেলাইট, সামুদ্রিক আইন ইত্যাদি বিষয়গুলো।

  • এই সাবজেক্ট এর ভবিষ্যত???

ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা দেখে বলা যায় ভবিষ্যতে এখান থেকে গ্রাজুয়েটরা যে ভালো বেশ ভালো একটা অবস্থান তৈরি করতে পারবে।BFRI (Bangladesh Fisheries Research Institute), মৎস্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন ফিশারিজ ফার্মে এক্সপার্ট হিসেবে জয়েন করার সুযোগ, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন চাকরী এবং অবশ্যই দেশের বাইরে চাহিদা তো থাকবেই।

  • এই বিষয়ের কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে আমাদের দেশে?

– Maritime sector is vast.

এখানে প্রতিটি ক্ষেত্র অনুযায়ী দক্ষতার প্রয়োজন। সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ নিয়ে আমাদের জ্ঞানের এখনো অনেক অভাব রয়েই গিয়েছে। বিশেষ করে আমি বলবো, আমাদের সমুদ্র সীমার মধ্যে গবেষণা কম। এটা ঠিক অনেক সংগঠন বর্তমানে মাছ নিয়ে গবেষণায় অনেক এগিয়ে গিয়েছে, কিন্তু সেটি উপকূলের নিকটে। গভীর সমুদ্র এখনো বাকী। আশা করি বুঝতে পেরেছ।

  • Will it be interesting?
– Yeah. Every subject is interesting. You just have to cope with it and find out your interest. You can’t neglect anyone.
  • Oceanography নাকি Fisheries?
– Both are better. একটায় পৃথিবীর পুরো মহাসমুদ্র নিয়ে আলোচনা আরেকটা শুধু মাত্র মহাসমুদ্রের Fisheries community নিয়ে।

প্রস্তুতিঃ

গত বছরের প্রশ্ন দেখে একটা ধারনা নিতে পারো। Maritime Question Bank.

ঢাকা ভার্সিটির ক ইউনিটের মতো প্রিপারেশন নিলেই হবে সাইন্সের সাবজেক্টের জন্য। ইংরেজি ঢাবি বিভিন্ন ইউনিটের আগের বছরের প্রশ্নগুলো দেখতে পারো। আইসিটি যেহেতু এবারেই এড হলো। তাই প্রথম ভরসা মূল বই। পাশাপাশি যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসিটির উপর পরীক্ষা হয় ঐ প্রশ্নগুলো সংগ্রহ করে সমাধান করতে পারো।

 

Info: Bayzid Mahmud

        Mohammad Azhar and

       Edu News team.

Spread the love

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
Don`t copy text!