ক্যাডেট কলেজ সামরিক বাহিনী পরিচালিত বিশেষ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধারণার সৃষ্টি হয় সামরিক বাহিনীতে যোগ্য কর্মকর্তা তৈরির চেতনা থেকে। বিসমার্ক প্রথম জার্মানিতে ক্যাডেট কলেজ ধারণার প্রবর্তন করেন। পরবর্তীকালে নেপোলিয়ান ফ্রান্সে এই ব্যবস্থা চালু করেন এবং সবশেষে পাকিস্তান ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে এই শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। ইংল্যান্ডের উন্নতমানের পাবলিক স্কুলের সাথে এর আদর্শগত সামঞ্জস্য রয়েছে। ক্যাডেট কলেজ মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিক সমন্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে মূলত পাকিস্তান ও বাংলাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই দুইটি দেশেই ঠিক ক্যাডেট কলেজ নামীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখে চলেছে। ক্যাডেট কলেজ বলতে বিশেষ ধরনের সামরিক স্কুল বোঝালেও সকল সামরিক স্কুল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই ক্যাডেট কলেজ বলা যাবে না। কেবল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানেই এই নামটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
বিসমার্কের যুগে জার্মানিতে প্রথম ক্যাডেট কলেজ ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়। সামরিক বাহিনীতে যোগ্য কর্মকর্তা তৈরীতে অল্প বয়স থেকেই প্রশিক্ষণ শুরু করানোটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করতে পারে। এই ধারণাই তৎকালীন ক্যাডেট কলেজ পদ্ধতির চালিকাশক্তি ছিল। নেপোলিয়নের যুগে ফ্রান্সে সামরিক দক্ষতা বৃদ্ধির একটি অন্যতম উপাদান হিসেবে ক্যাডেট কলেজ পদ্ধতি গৃহীত হয়।
তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় চট্টগ্রাম জেলার ফৌজদারহাটে ১৯৫৮ সালে। প্রথমে এ কলেজের নাম রাখা হয় ইস্ট পাকিস্তান ক্যাডেট কলেজ। পরবর্তীকালে কলেজের নাম হয় ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। ১৮৫ একর জায়গার উপর এটি প্রতিষ্ঠিত এবং সেনা বাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। এর সকল অর্থের যোগান দিত রাষ্ট্র। কলেজ পরিচালনার মূল দায়িত্বভার ছিল চতুর্দশ ডিভিশনের জিওসি’র (জেনারেল অফিসার কমান্ডিং) হাতে। প্রাদেশিক সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপর অর্থ যোগানের দায়িত্ব ছিল। মূলত আইয়ুব খানের উদ্যোগেই এই কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। নিউজিল্যান্ড সেনাবাহিনীর একজন লেফট্যানেন্ট কর্নেল ইংল্যান্ডে বসবাস করছিলেন এবং সেখানকার পাবলিক স্কুলের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার নাম স্যার উইলিয়াম মরিস ব্রাউন। আইয়ুব খান ব্রাউনের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে পূর্ব পাকিস্তানে ক্যাডেট কলেজ পরিচালনার ভার গ্রহণে আমন্ত্রণ জানান। এতে রাজি হয়ে ব্রাউন পূর্ব পাকিস্তানে আসেন এবং ফৌজদারহাট ক্যাডেট করেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি এই কলেজে দীর্ঘ ৭ বছর অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন।
পড়াশোনার উচ্চ মান ও পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের জন্য ক্যাডেট কলেজ দ্রুত সুনাম অর্জন করে। এতে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তান সরকার আরও ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। পাকিস্তান আরও কয়েকটি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তন্মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে গঠিত হয় আরও তিনটি ক্যাডেট কলেজ। ১৯৬৪ সালে খুলনা বিভাগে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, ১৯৬৫ সালে ময়মনসিংহ জেলায় মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজ এবং পরবর্তী বছর তথা ১৯৬৬ সালে রাজশাহী জেলায় রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা বিভক্ত হয়ে কয়েকটি জেলা গঠন করা হয় তখন মোমেনশাহী ক্যাডেট কলেজের নাম পরিবর্তন করে মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ রাখা হয়। এটি তখন নবগঠিত টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৯৬০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের উদ্যোগে ঢাকায় রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল নামে একটি আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। এটি প্রতিষ্ঠায় অনেকাংশে ক্যাডেট কলেজের অনুকরণ করা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালে কুমিল্লা, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পাবনা ও রংপুর জেলায় রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। এগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলটি কেবল মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়। ক্যাডেট কলেজ ও রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল দুটি একই ধারার আবিসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলওে এদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। ক্যাডেট কলেজ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত থাকে সরাসরি সেনা বাহিনী সদর দপ্তরের উপর। কিন্তু দেশের অন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর।
১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। স্বাধীনতার পর ক্যাডেট কলেজগুলো পরিচালনার দায়িত্ব কার উপর অর্পণ করা হবে, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। অবশেষে ১৯৭২ সালের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতির ক্যাডেট কলেজ ৮৯ নং অধ্যাদেশ অনুযায় প্রণীত হয়। এ অনুযায়ী জাতীয় শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট প্রণয়ন সাপেক্ষে ক্যাডেট কলেজ পরিচালনার জন্য একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে ক্যাডেট কলেজ কাউন্সিল গঠিত হয়। এর মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজ গভর্নিং বডিকে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়। এই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হন শিক্ষা মন্ত্রী এবং কাউন্সিলের অধীনে গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান হন বিভাগীয় কমিশনার।
১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদে ক্যাডেট কলেজ আইন পাস করা হয়। এর মাধ্যমে ক্যাডেট কলেজ কাউন্সিলকে সরাসরি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে আনা হয়। পুনর্বিন্যস্ত করা হয় গভর্নিং বডিসমূহ। প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিবকে কাউন্সিলের চেয়ারম্যান করা হয়, গভর্নিং বডিসমূহের চেয়ারম্যান হন সামরিক বাহিনী উপ-প্রধান। তখন থেকে অনেকবার কাউন্সিল ও গভর্নিং বডিসমূহের চেয়ারম্যান পদে রদবদল হয়েছে, কিন্তু এর মৌলিক বৈশিষ্ট্যসমূহ একই রয়ে গেছে।
১৯৭৮ সাল থেকে পূর্বে প্রতিষ্ঠিত রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলগুলোতে ক্যাডেট কলেজে রুপান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে উক্ত বছরেই সিলেট ও রংপুরের রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল দুটিকে ক্যাডেট কলেজে রুপান্তরিত করা হয়। ১৯৮১ সালে বরিশাল ও পাবনা ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮২ সালে ময়মনসিংহ রেসিডেন্সিয়ার মডেল স্কুলটিকে গার্লস ক্যাডেট কলেজে রুপান্তরিত করা হয়। ১৯৮৩ সালে কুমিল্লা রেসিডেন্সিয়ালটিও রুপান্তরিত হয়। এভাবে বাংলাদেশে সর্বমোট ক্যাডেট করেজের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ টিতে। অনেক দিন বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের সংখ্যা এই ১০ টি-ই ছিল। ২০০৬ সালে সরকারের বিশেষ উদ্যোগে আরও দুইটি ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, দুইটি কলেজই মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। এর একটি ফেনী জেলায় এবং অন্যটি জয়পুরহাট জেলায়। এর মধ্যে ৯ টি ছেলেদের ,৩ টি মেয়েদের জন্য সংরক্ষিত “ক্যাডেট কলেজ”।
| নং | নাম | প্রতিষ্ঠার তারিখ | অবস্থান | আয়তন |
|---|---|---|---|---|
| ১ | ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ | এপ্রিল ২৮, ১৯৫৮ | ফৌজদারহাট, সীতাকুণ্ড উপজেলা, চট্টগ্রাম জেলা | ১৮৫ একর |
| ২ | ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ | ১৯৬৩ | ঝিনাইদহ শহর থেকে ২ কিমি উত্তরে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে | ১০১ একর |
| ৩ | মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ | জানুয়ারি ৯, ১৯৬৫ | টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা; ঢাকা-টাঙ্গাইল ট্রাঙ্ক রোডের পাশে | ৯৫ একর |
| ৪ | রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ | ফেব্রুয়ারি ১১, ১৯৬৬ | সারদা, চারঘাট উপজেলা। রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিমি দূরে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের বানেশ্বর-চারঘাট সড়ক দিয়ে যেতে হবে। পদ্মা নদীর তীরে মোক্তারপুর নামক স্থান। | ১১০ একর |
| ৫ | বরিশাল ক্যাডেট কলেজ | ১ জুলাই ১৯৮১ | বরিশাল শহর থেকে ২০ কি.মি. দূরত্বে ঢাকা – বরিশাল মহাসড়কের পাশে। ইউনিয়ন-রহমতপুর, উপজেলা-বাবুগঞ্জ, জেলা-বরিশাল | ৫১ একর |
| ৬ | পাবনা ক্যাডেট কলেজ | আগস্ট ৭, ১৯৮১ | জালালপুর, পাবনা সদর উপজেলা | ৪৭ একর |
| ৭ | সিলেট ক্যাডেট কলেজ | ১৫ মে ১৯৭৮ | বিমানবন্দর সড়ক, সিলেট | ৫২.৩৭ একর |
| ৮ | রংপুর ক্যাডেট কলেজ | জুলাই ১, ১৯৭৯ | রংপুর, আশরতপুর, রংপুর সদর উপজেলা | ৩৭ একর |
| ৯ | ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ | জুলাই ১, ১৯৮২ | সেহরা, ময়মনসিংহ শহর, ময়মনসিংহ | ২৩ একর |
| ১০ | কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ | ১ জুলাই ১৯৮৩ | কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক, কোটবাড়ী, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা, কুমিল্লা | ৫২ একর |
| ১১ | ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ | জুন ৭ ,২০০৬ | পুরাতন বিমানবন্দর ফেনী পৌরসভা , ফেনী জেলা | ৪৯.৫ একক |
| ১২ | জয়পুরহাট গার্লস ক্যাডেট কলেজ | ১৬ জুলাই ২০০৬ | জয়পুরহাট সদর উপজেলা, জয়পুরহাট | ৫৭ একর |
সাধারণত প্রতি বছর নভেম্বরে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণের কাজ শুরু হয়। তা চলে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় জানুয়ারিতে। ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা কি, কিভাবে আবেদন করা যায়, আবেদন ফি কত, আবেদনের সময় কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানতে হবে সবার আগে। কেননা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির চেয়ে ক্যাডেট কলেজগুলোতে নিয়ম কানুন গুলো একটু ভিন্ন এবং সেসব নিয়মনীতি তারা অবলোকন করে অত্যন্ত সুক্ষ্মভাবে।
আবেদনের যোগ্যতা
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুকদের অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। এ ছাড়া তাদের ৬ষ্ঠ শ্রেণী বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ১৪ বছর এবং ছেলেমেয়ে উভয়েরই উচ্চতা থাকতে হবে নূ্ন্যতম ৪ ফুট ৮ ইঞ্চি। ইতিমধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে পারেনি এমন শিক্ষার্থীরা আবেদনের অযোগ্য। এ ছাড়া বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা যেমন গ্রস নক নী, ফ্ল্যাট ফুট, বর্ণান্ধ ও অতিরিক্ত ওজন এবং বিভিন্ন রোগ যেমন এজমা, মৃগী, হৃদরোগ, বাত, যক্ষ্মা, পুরনো আমাশয়, হেপাটাইটিস, রাতকানা, ডায়াবেটিসসহ আরও কয়েকটি রোগে আক্রান্ত কেউ আবেদনের অযোগ্য বিবেচিত হয়।
আবেদনের নিয়ম
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ব্যবহার করতে হবে www.cadetcollege.army.mil.bd এই ওয়েবসাইটি। আবেদনের সময় প্রার্থীদের অনাধিক ১৮০x২১০এবং ২০০ কিলোবাইটের পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করতে হবে। ছবি অবশ্যই ১৫ দিনের বেশি পুরনো হওয়া যাবে না।
আবেদন ফি ও জমাদান পদ্ধতি
প্রার্থীরা পরীক্ষার আবেদন ফি Trust Bank Mobile Money, Q Cash অথবা টেলিটক প্রিপেইড সিমসংবলিত যেকোনো মোবাইল থেকে এসএমএস- এই তিনটির যেকোনো একটি মাধ্যম ব্যবহার করে জমা দিতে পারবে। তবে মাধ্যমভেদে পরীক্ষার ফি’র পার্থক্য রয়েছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও জমাদান পদ্ধতি
প্রার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বা প্রাথমিক ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার সত্যায়িত সনদপত্র; ৫ম শ্রেণিতে ইংরেজি মাধ্যমে অধ্যয়নকৃত শিক্ষার্থীদের তাদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক উত্তীর্ণের প্রত্যয়নপত্র; প্রার্থীর জন্মনিবন্ধন বা জন্ম সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি; প্রার্থীর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক ষষ্ঠ বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সাল উল্লেখপূর্বক সনদপত্র; ফলাফল প্রকাশিত না হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে এই মর্মে প্রদত্ত সনদ; প্রার্থীর বাবা-মা বা অভিভাবকের মাসিক আয়ের স্বপক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়নপত্র; প্রার্থীর অভিভাবক বা বাবা-মা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি (পরিচয়পত্র না থাকলে যথাযথ কারণ প্রদর্শনপূর্বক প্রত্যয়নপত্র) এবং অনলাইন আবদেনপত্রে আপলোড করা প্রার্থীর ছবির অনুরূপ পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইজের রঙিন ছবি। সফলভাবে অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের পর উক্ত কাগজপত্রাদি ১৫x১০ ইঞ্চি খামের উপরে প্রার্থীর ইনডেক্স নম্বর ও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম উল্লেখপূর্বক ৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখের মধ্যে প্রার্থীর প্রবেশপত্রে উল্লিখিত পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্যাডেট কলেজের ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাক বা বাহকের মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। উল্লেখ্য, কোটা সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে প্রার্থীদের অবশ্যই ক্যাডেট কলেজগুলোর ‘ই-বুথ আউটলেট’র মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোটাধারীদের তাদের সংশ্লিষ্ট কোটার স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজসহ অন্যান্য কাগজপত্র ও ছবির সফট কপি সঙ্গে আনতে হবে। উল্লেখ্য, প্রার্থী ও অভিভাবকদের সুবিধার্থে অনলাইনে আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি জমাদানের জন্য প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে এবং ঢাকা আর্মি স্টেডিয়ামে একটি করে ‘ই-বুথ আউটলেট’ স্থাপন করা হয়েছে। এ সব ই-বুথে উপস্থিত হয়ে অনলাইনে আবেদন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও আবেদন ফি জমা দেওয়া যাবে।
পরীক্ষার মাধ্যম
বাংলা ও ইংরেজি, এ দুটি মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়া যায়। তবে প্রার্থীকে যেকোনো একটি মাধ্যম বেছে নিতে হবে।
পরীক্ষার মানবণ্টন
মোট ৩০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ইংরেজিতে মার্কস ৭৫, গণিতে ৫৫, বাংলায় ৪০ ও সাধারণ জ্ঞানে ৩০ মার্কস। আর মৌখিক পরীক্ষার মার্কস ৫০ ও স্যুটবিলিটি টেস্টের জন্য রয়েছে ৫০ মার্কস। এ ছাড়া রয়েছে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা। উল্লিখিত সব ধাপের ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
পরীক্ষার প্রস্তুতি
ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষা থেকে ভিন্ন ধরনের। তাই এ পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে দরকার দীর্ঘ প্রস্তুতি, কঠোর অধ্যবসায় ও সঠিক গাইডলাইন। নিয়মিত পড়াশোনা এতে বড় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ভর্তি পরীক্ষা
ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নিয়ে মৌখিক ও স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা এবং এবং স্যুটাবিলিটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ক্যাডেট ভর্তি পরীক্ষাসংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে www.cadetcollege.army.mil.bd ওয়েবসাইটটি ভিজিট কর।সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদানে অগ্রাধিকার : ক্যাডেট কলেজে পড়াশোনা শেষে ক্যাডেটদের সশস্ত্র বাহিনীর কমিশন্ড অফিসার পদে নির্বাচনী পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ক্যাডেটদের শুধু ISSB পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েই সশস্ত্র বাহিনীতে যোগদান করা যায় এবং তা বাধ্যতামূলক।
The top 10 College of Dhaka is listed below based on HSC Result 2025. এইচ… Read More
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার (২০২৫) ফল প্রকাশিত হয়েছে, প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বর ৯০.৭৫, পাশের হার ৪৫.৬২। মেডিকেল… Read More
The top 10 College of Dhaka is listed below based on HSC Result 2024. এইচ… Read More
এইচ এস সি রুটিন ২০২৪ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (এইচ এস সি) আগামী… Read More
পুরো রমজান মাসেই মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উৎসবমুখর থাকে। আজকে কোনো ক্লাবের ইফতার আয়োজন তো… Read More
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় - জাবি ই ইউনিট এর অধীনে মোট ৪ টি বিভাগ রয়েছে । জাহাঙ্গীরনগর… Read More
View Comments