এক নজরে চাঁদপুর-Chandpur
ইলিশের রাজধানী, ইলিশের বাড়ি, চাঁদপুর জেলা
ইলিশের রাজধানী খ্যাত চাঁদপুর জেলা ইতিহাস ও ঐতিহ্যে প্রসিদ্ধ। ৬৪জেলার মাঝে চাঁদপুর জেলা অন্যতম একটি জেলা। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। চাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ২০২০ সালে চাঁদপুর জেলাকে ‘এ’ শ্রেনীভুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।২০১৭ সালে বাংলাদেশের প্রথম ব্র্যান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুরকে স্বীকৃতি দেয়। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে ‘ইলিশের বাড়ি’ নামে ডাকা হয়। এই জেলায় অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।এই পোস্টে এক নজরে চাঁদপুর জেলাকে তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
প্রতিষ্ঠাকালঃ
১৮৭৮ সালে ত্রিপুরা জেলা (পরবর্তীতে যা কুমিল্লা নামে পরিচিত) যে তিনটি মহকুমা নিয়ে গঠিত হয়, তার মধ্যে চাঁদপুর অন্যতম। ১৯৮৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি চাঁদপুর জেলায় উন্নীত হয়।
নামকরণঃ
বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এ অঞ্চলে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, চাঁদরায়ের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম হয়েছে চাঁদপুর।
অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নাম অনুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো মতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাসক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে নাম হয়েছে চাঁদপুর।
আয়তনঃ
১,৭০৪.০৬ বর্গকিমি (৬৫৭.৯৪ বর্গমাইল)
জনসংখ্যাঃ
Total: 26,00,263
Male: 13,54,732
Female: 1245531
আদিবাসীর সংখ্যাঃ
Tripura
Total population: 3,272
Male: 1504
Female: 1723
ভোটারঃ
Total: 14,11,606
Male: 7,36,937,
Female: 6,74,669
প্রশাসনিক এলাকাসমূহঃ
চাঁদপুর জেলা ৮টি উপজেলা, ৮টি থানা, ৮টি পৌরসভা, ৮৮টি ইউনিয়ন, ১০৪১টি মৌজা, ১৩৬৫টি গ্রাম ও ৫টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত।
উপজেলাসমূহঃ
চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা রয়েছে। উপজেলাগুলো হল:
উল্লেখ্য চাঁদপুর জেলায় ৬টি আদর্শ গ্রাম রয়েছে।
সংসদীয় আসনঃ
সংসদীয় আসন | জাতীয় নির্বাচনী এলাকা | সংসদ সদস্য | রাজনৈতিক দল |
---|---|---|---|
২৬০ চাঁদপুর-১ | কচুয়া উপজেলা | মহিউদ্দীন খান আলমগীর | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬১ চাঁদপুর-২ | মতলব দক্ষিণ উপজেলা এবং মতলব উত্তর উপজেলা | নূরুল আমিন রুহুল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬২ চাঁদপুর-৩ | চাঁদপুর সদর উপজেলা এবং হাইমচর উপজেলা | দীপু মনি | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬৩ চাঁদপুর-৪ | ফরিদগঞ্জ উপজেলা | মুহম্মদ শফিকুর রহমান | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
২৬৪ চাঁদপুর-৫ | হাজীগঞ্জ উপজেলা এবং শাহরাস্তি উপজেলা | রফিকুল ইসলাম | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
এক নজরে চাঁদপুর জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ
বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৬৯.৮০%। এ জেলায় রয়েছে:
- বিশ্ববিদ্যালয় : ১টি(প্রস্তাবিত)
- মেডিকেল কলেজ : ১টি
- সরকারি কলেজ : ৯টি
- বেসরকারি কলেজ : ৩৪টি(২৭টি এম.পি. ভুক্ত)
- স্কুল এন্ড কলেজ : ২৬টি
- পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট : ১টি
- মেরিন ইনস্টিটিউট : ১টি
- মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট : ১টি
- টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ : ৩টি
- মাধ্যমিক বিদ্যালয় : ২৪৯টি
- প্রাথমিক বিদ্যালয় : ১১২০টি
- মাদ্রাসা : ১২৫৭টি
- শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট : ১টি
- নার্সিং ইনস্টিটিউট : ২টি
- আইন(ল’) কলেজ : ১টি
- হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ : ১টি
- ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ : ১টি
নদীঃ
চাঁদপুর জেলা নদীর জেলা হিসেবে পরিচিত। এখানে জালের মতো বিস্তৃত আছে অনেক নদী। এ জেলার প্রধান ৪টি নদী হল মেঘনা, পদ্মা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা নদী।
যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ
চাঁদপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল ঢাকা-চাঁদপুর মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-চাঁদপুর মহাসড়ক। শুধুমাত্র চাঁদপুর জেলার জন্য আলাদা একটি রেলপথ রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতিদিন চাঁদপুর-চট্টগ্রাম এবং চাঁদপুর-কুমিল্লার আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকে নৌপথে যোগাযোগের জন্যে রয়েছে চাঁদপুর নদী বন্দর।
বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের রূটের বিস্তারিতঃ
- concrete road; 285 km
- Soil road;2,360 km
- Railway;41 km
- Naval route;203 km
হাট-বাজারঃ
ছোট-বড় সবমিলিয়ে চাঁদপুর জেলায় ২১২টি হাট-বাজার রয়েছে।
এক নজরে চাঁদপুর জেলার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাঃ
চাঁদপুর জেলায় স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবার জন্য রয়েছে:
- জেনারেল হাসপাতাল : ১টি (২৫০ শয্যাবিশিষ্ট)
- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ৮টি
- আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র -আইসিডিডিআর,বি : ১টি (icddrb – বাংলাদেশের একমাত্র উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র)
- মাতৃমঙ্গল কেন্দ্র : ৩টি
- চক্ষু হাসপাতাল : ৪টি
- বক্ষব্যাধী হাসপাতাল : ১টি
- ডায়বেটিক হাসপাতাল : ১টি
- রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল : ১টি
- রেলওয়ে হাসপাতাল : ১টি
- বেসরকারি হাসপাতাল : ৭৩টি
- বেসরকারি ডেন্টাল ক্লিনিক : ৭টি
- ডায়গনস্টিক সেন্টার : ১০৭টি(Registered-92, Unregistered -15)
পত্র-পত্রিকাঃ
- দৈনিক: ১৫টি; চাঁদপুর কণ্ঠ, চাঁদপুর দর্পণ, চাঁদপুর জমিন, চাঁদপুর প্রবাহ, চাঁদপুর বার্তা, চাঁদপুর প্রতিদিন, চাঁদপুর সংবাদ, চাঁদপুর দিগন্ত, আলোকিত চাঁদপুর, চাঁদপুর খবর, মেঘনা বার্তা, ইলশেপাড়, মতলবের আলো, সুদীপ্ত চাঁদপুর, শাহরাস্তি বার্তা।
- সাপ্তাহিক: ১৩টি; দিবাচিত্র, রূপালী চিত্র, রূপসী চাঁদপুর, হাজীগঞ্জ, দিবাকণ্ঠ, মানব সমাজ, আমাদের অঙ্গীকার, চাঁদপুর কাগজ, মতলব কণ্ঠ, নতুনের ডাক, চাঁদপুর সকাল, লাল সবুজের মেলা, শাহরাস্তি।
- পাক্ষিক: ২টি; কচুয়া কণ্ঠ, কচুয়া বার্তা।
- মাসিক: ৩টি; ফরিদগঞ্জ বার্তা, পল্লী কাহিনী, হেরার পয়গাম।
- অনলাইন পত্রিকা: বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন পত্রিকা আছে।
এক নজরে চাঁদপুর জেলার দর্শনীয় স্থানঃ
এই জেলায় অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।প্রতিদিন কম বেশ একটা সংখ্যক মানুষ ডে ট্যূর বা থাকার জন্য চাঁদপুরে আসে। এক নজরে দেখে নেয়া যাক চাঁদপুরের উল্ল্যেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান-
বঙ্গবন্ধু পর্যটন কেন্দ্র, বড়স্টেশন মোলহেড বা তিন নদীর মোহনা (চাঁদপুর সদর) | মোহনপুর পর্যটন লিমিটেড |
টরকী বকুল তলা |
ষাটনল পর্যটন কেন্দ্র |
---|---|---|---|
মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর | হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ (৬ষ্ঠ বৃহত্তম) | হযরত শাহরাস্তি (রহ.) এর মাজার | ধানুয়া মিনি হাওর (ধানুয়া-গাজীপুর ব্রিজ) |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
পর্তুগীজ দুর্গ, সাহেবগঞ্জ |
|
|
|
|
চাঁদপুর জেলার সব উপজেলার পোস্টাল কোডঃ
চাঁদপুর সদর থানার পোস্টকোড:
চাঁদপুর সদর – ৩৬০০
পুরানবাজারের – ৩৬০১
বাবুরহাট – ৩৬০২
সাহাতালি – ৩৬০৩
হাজীগঞ্জ থানার পোস্টকোড:
হাজীগঞ্জ – ৩৬১০
বলাখাল – ৩৬১১
শাহরাস্তি থানার পোস্টকোড:
শাহরাস্তি – ৩৬২০
খিলাবাজার – ৩৬২১
পশ্চিম খেরিহার – ৩৬২২
ছোটোশি – ৩৬২৩
ইসলামিয়া মাদ্রাসা – ৩৬২৪
কচুয়া থানার পোস্টকোড:
কচুয়া – ৩৬৩০
পাক শ্রীরামপুর – ৩৬৩১
রহিমা নগর – ৩৬৩২
সাচার – ৩৬৩৩
মতলব থানার পোস্টকোড:
মতলব – ৩৬৪০
মোহনপুর – ৩৬৪১
কালিপুর – ৩৬৪২
ফরিদগঞ্জ থানার পোস্টকোড:
ফরিদগঞ্জ – ৩৬৫০
চান্দ্রা – ৩৬৫১
রূপসা – ৩৬৫২
গৃদকালিন্দিয়া – ৩৬৫৩
রামপুরবাজার – ৩৬৫৪
ইসলামপুর শাহ ইসাইন – ৩৬৫৫
হাইমচর থানার পোস্টকোড:
হাইমচর – ৩৬৬০
গান্ধামারা – ৩৬৬১
তথ্যসূত্রঃ
6 Comments