fbpx

কলেজ ভর্তি ২০২৩ – আবেদন কবে শুরু? xiclassadmission.gov.bd

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৩ : ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি সহ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সকল খুঁটিনাটি তথ্য পাবেন একটি মাত্র পোস্টের মধ্যে। তোমরা এই আর্টিকেলটি ধৈর্য্য সহকারে মনযোগ দিয়ে পড়লে আশাকরি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ব্যাপারে একটা সুস্পষ্ট গাইডলাইন পেয়ে যাবে।

Update : ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি আগামী ১০ আগস্ট থেকে শুরু হবে আশা করা যায়। চলতি সাপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পোস্টটি সর্বশেষ আপডেট করা হয়েছে ২৯ জুলাই ২০২৩

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়া ২০২৩ একাদশ শ্রেণির ভর্তি এবারও অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ভর্তি কার্যক্রমে ৩ বার প্রাথমিক আবেদন, ৩ বার ভর্তি রেজাল্ট, ৩ বার ভর্তি নিশ্চায়ন এবং ১ বার চূড়ান্ত ভর্তির সময় দিবে। তবে ভর্তি নিশ্চায়ন একবারই করতে হবে। সবশেষে সরাসরি কলেজে গিয়ে ভর্তি ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে ভর্তি হতে হবে।

১ম পর্যায়ে আবেদন

সর্বপ্রথম সবাইকে প্রাথমিক আবেদন করতে হবে। আবেদন করার নিয়ম এখান থেকে দেখুন। যারা ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে তাদেরকেও ঐ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। এরপর “আবেদন যাচাই বাচাই” এর জন্য সময় দেওয়া হবে। এরপর যাদের বোর্ড চ্যালেঞ্জে রেজাল্ট পরিবর্তিত হবে, তারা আবার আবেদন করতে পারবে। তাছাড়া আবেদন করার পর কলেজ তালিকা বা পছন্দক্রম পরিবর্তন করার দরকার হলে করা যাবে। তবে সর্বোচ্চ ৫ বার ১ম পর্যায়ের আবেদনের পছন্দক্রম পরিবর্তন করা যাবে। এবার ৪-৫ দিন পর ১ম পর্যায়ের রেজাল্ট দিবে। যাদের পছন্দমত কলেজ আসবে অথবা যাদের আসবে না, তাদের সবাইকে সাথে সাথে ভর্তি নিশ্চায়ন করে নিতে হবে। কেননা ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের রেজাল্ট ও আবেদন উভয়ই বাতিল হয়ে যাবে। এরপর সবাইকে চূড়ান্ত ভর্তির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। চূড়ান্ত ভর্তির নিয়ম এখানে দেখ।

তবে পছন্দের কলেজ না আসলেও ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে এবং তাদের অটো-মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে এবং মাইগ্রেশনের রেজাল্ট দুইবার দিবে। ফলে পরবর্তীতে সে মাইগ্রেশনের মাধ্যেমে যেই কলেজে চান্স পাবে, তাকে সেই কলেজে ভর্তি হতে হবে। আর তারা যদি মাইগ্রেশন বা ভর্তি নিশ্চায়ন করতে না চায় তাও পারবে। ফলে তাদেরকে ২য় পর্যায়ে নতুন করে আবেদন ফি দিয়ে আবেদন করতে হবে। কিন্তু একবার নিশ্চায়ন করার পরে রেজাল্ট পরিবর্তিত হলে অর্থাৎ অটো-মাইগ্রেশন হলে পূণরায় ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে না।ন

২য় পর্যায়ে আবেদন

যারা ১ম পর্যায়ে আবেদন করতে পারেনি অথবা যারা ১ম পর্যায়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি, তাদের সবাইকে আবেদন ফি দিয়ে সতর্কতার সাথে আবেদন করতে হবে। কেননা এবার কেউ “আবেদন যাচাই বাচাই” এবং “পছন্দক্রম পরিবর্তন” করার সুযোগ পাবে না। এবার দুই দিন পরই তাদের ও ১ম পর্যায়ে নিশ্চায়নকারীদের ১ম মাইগ্রেশনের রেজাল্ট দিবে। এরপর যারা নতুন করে চান্স পাবে শুধু তাদেরকেই ভর্তি নিশ্চায়ন করতে হবে। আর যাদের মাইগ্রেশন হবে না, তাদেরকে ২য় মাইগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ৩য় পর্যায়ে আবেদন এখনও যারা একাদশে আবেদন করতে পারেনি এবং যারা ২য় পর্যায়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করেনি, তাদের সবাইকে আবেদন ফি দিয়ে সতর্কতার সাথে আবেদন করতে হবে। কেননা এবারও “আবেদন যাচাই বাচাই” এবং “পছন্দক্রম পরিবর্তন” করার সুযোগ থাকবে না। দুই দিন পরই তাদের এবং ২য় ও ১ম পর্যায়ে নিশ্চায়নকারীদের মাইগ্রেশনের রেজাল্ট বের হবে। এরপরের কাজ ঠিক আগের মত। তবে এই পর্যায়ে যে যেই কলেজে চান্স পাবে তাকে সেই কলেজে ভর্তি হতে হবে। কেননা এরপর আর নতুন করে আবেদন বা মাইগ্রেশনের সুযোগ নাই। যারা ৩য় পর্যায়ে চান্স পাইছ তাদের করণীয় একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে “নীতিমালা অনুযায়ী এই বছর আর ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে না”। এটা বোর্ড ই ভালো জানে। কেননা গত বছর তারা নীতিমালা মানে নি। বরং ৫ বার আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল। তাই রিস্ক থেকে মুক্তি থাকার জন্য যারা চান্স পাবে নিশ্চায়ন করে নিবে। কেননা পরে তোমরা কলেজ পরিবর্তন করার সুযোগ পাবে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ভর্তি ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে যারা চান্স পেয়ে ভর্তি নিশ্চায়ন করেছে শুধু তারাই এখন তাদের চান্স পাওয়া কলেজে ভর্তি হতে পারবে। এ জন্য চূড়ান্ত ভর্তির সময়ে নিম্নোক্ত কাগজপত্র নিয়ে যেতে হবে। ২-৪ দিনের মত সময় দেয়া হবে। তাই আগে বাগে কাগজগুলো রেডি করে রাখবে এবং ভর্তি ফিও। এই হলো একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার গাইডলাইন। এছাড়া ভর্তি সংক্রান্ত আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

যারা ৩য় পর্যায়েও চান্স পাও নি তাদের করণীয় একাদশ শ্রেণী ভর্তি কার্যক্রমে যারা ৩য় পর্যায়েও কোন কলেজে চান্স পাবে না তাদের করণীয় হচ্ছে অপেক্ষা করা। কেননা গতবার ৫ বার আবেদন করার সুযোগ দিয়েছিল শিক্ষাবোর্ড। তাই হতাশ না হয়ে অপেক্ষা কর। আর হ্যা, যদি ৪র্থ পর্যায়ের আবেদন চূড়ান্ত ভর্তি শেষ হওয়ার পর শুরু হবে। চূড়ান্ত ভর্তি শুরু হবে ২২ জানুয়ারি থেকে এবং চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন যখন শুরু হবে এবার একাদশ শ্রেণিতে ৪ লাখ শিক্ষার্থী আবেদন করেনি। এছাড়া অনেকে ৩য় পর্যায়ে চান্স পায়নি। ফলে ৪র্থ পর্যায়ে আবেদনের সুযোগ আসছে বলে জানান আন্তঃশিক্ষাবোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার। তো আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের ১ম সাপ্তাহে একাদশ শ্রেণিতে ৪র্থ পর্যায়ে আবেদন শুরু হবে বলে জানা গেছে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৩ এর যোগ্যতা কত? দেশের যেকোন শিক্ষা বোর্ড থেকে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি বা দাখিল বা এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী (নীতিমালার অন্যান্য শর্ত সাপেক্ষে) যেকোন কলেজ বা সমমান (মাদরাসা, কারিগরি) প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবে। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ সালের এসএসসি পরিক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাও জেনারেল কলেজ বা সমমান যেকোন প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। তবে তাদেরকে বোর্ডে ম্যানুয়ালি (সরাসরি কাগজে কলমে) আবেদন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের বয়সের কোনো বাধা-নিষেধ নেই। কোন কলেজে ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে? একাদশ শ্রেণিতে এবার প্রায় ৭ লক্ষ্য সিট খালি থাকবে। কিন্তু এবার জিপিএ-৫ এর হার সবচেয়ে বেশি হওয়ায় এবার ভালো কলেজে চান্স পাওয়া অনেক চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে যেহেতু ১০টি কলেজে আবেদন করা যাবে সেহেতু ৩-৪ টা ভালো কলেজ চয়েজ দিতেই পার। এভাবে সবাই ১ থেকে ১০ পর্যন্ত কলেজ চয়েজ দিবা। দেশের সকল কলেজের আসন সংখ্যা ও ভর্তি যোগ্যতা নিম্নের লিংক থেকে দেখুন।

একাদশ শ্রেণিতে বিভিন্ন কলেজে ভর্তির যোগ্যতা ২০২৩ কয়টি কলেজে আবেদন করা যাবে? একাদশ শ্রেণিতে সর্বনিম্ন ০৫ টি ও সর্বোচ্চ ১০ টি কলেজে আবেদন করা যাবে। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। নতুন পোস্ট : একাদশ শ্রেণিতে কলেজ নির্বাচন করার নিয়ম আবেদন ফি কত? একাদশ শ্রেণিতে প্রাথমিক আবেদন ফি ১৫০ টাকা। এতে তুমি ০৫ টি কলেজে আবেদন কর অথবা ১০ টি কলেজে আবেদন কর, আবেদন ফি ১৫০ টাকা একবারই দিতে হবে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। অনলাইনে আবেদন করতে কি কি লাগবে?

এসএসসি রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর। এসএসসি পাশের সাল ও বোর্ডের নাম। একটি সচল মোবাইল নম্বর। আবেদন ফি ১৫০ টাকা।

অনলাইনে কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩ বিগত বছরের মত এবারও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে কলেজে ভর্তি করা হবে এবং একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ২০২৩ এর জন্য প্রাথমিক আবেদন শুধুমাত্র অনলাইনে করতে হবে। মাদরাসা, কলেজ এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সবাইকে একই নিয়মে আবেদন করতে হবে। তাই আবেদন প্রক্রিয়া অনেক লম্বা হওয়ায় আলাদাভাবে পোস্ট করা হয়েছে। নিম্নের লিংক থেকে দেখে নিন যেভাবে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে আবেদন করবেন। কলেজে ভর্তির আবেদন ২০২৩ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির রেজাল্ট ২০২৩ যেভাবে দেখবেন ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীর ভর্তি রেজাল্ট দুইভাবে দেখা যায়। তথা : এসএমএস ও ওয়েবসাইট। এসএমএস এর মাধ্যমে বোর্ড সময়মত শিক্ষার্থীর মোবাইলে ফল জানিয়ে দিবে। তাছাড়া শিক্ষার্থী ওয়েবসাইট থেকে তার ভর্তি ফল জানতে পারবে। উল্লেখ্য যে রেজাল্ট, নির্ধারিত তারিখের রাত ৮ টায় প্রকাশিত হবে। ভর্তি রেজাল্ট দেখার লিংক একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চায়ন ফি কত? একাদশ শ্রেণির ভর্তি নিশ্চায়ন বা রেজিস্ত্রেশন ফি ৩২৮/- টাকা। তবে মোবাইল চার্জ সহ সর্বোচ্চ ৩৩৫ টাকা লাগতে পারে।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চায়ন পদ্ধতি একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কোনো মেধা তালিকায় কোনো শিক্ষার্থী চান্স পেলে তার ভর্তি নিশ্চায়ন করা খুভ জরুরী। তা না হলে চান্স বাতিল সহ আবেদনও বাতিল হয়ে যাবে। এভাবে ২য় ও ৩য় পর্যায়ে চান্স প্রাপ্তদেরকেও সাথে সাথে নিশ্চায়ন করতে হবে। নিম্নের লিংক থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চায়ন করার পদ্ধতি দেখে নিন : একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নিশ্চায়ন পদ্ধতি একাদশ শ্রেণিতে মাইগ্রেশন করব কিভাবে? মাইগ্রেশন করতে চাও? কলেজ পরিবর্তন করতে চাও? তাহলে শুধু ভর্তি নিশ্চায়ন করো, অটো মাইগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। তবে এটা বন্ধ করার কোনো উপায় নেই, যদি নিশ্চায়ন করো। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগবে? চূড়ান্ত ভর্তি হওয়ার সময় নিম্নোক্ত কাগজপত্রের মূল কপি সহ প্রত্যেকটির ২ কপি ফটোকপি নিয়ে কলেজে উপস্থিত হতে হবে। তারপর কলেজের নিজস্ব ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে, তা সঠিক ও সতর্কতার সাথে পূরণ করে উক্ত কাগজপত্রসমূহ সহ ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি হতে হবে। উল্লেখ্য এখানে শুধু এসএসসি’র কথা বললেও দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও এগুলো প্রযোজ্য।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে কি কি কাগজপত্র লাগবে?

ভর্তি ফরম। এটা ভর্তি হওয়ার সময় কলেজ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এসএসসি মূল মার্কশীট বা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি। এসএসসি মূল প্রসংশাপত্র বা টেস্টিমোনিয়াল – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি। এসএসসি মূল প্রবেশপত্র বা এডমিট কার্ড – মূল কপি সহ ফটোকপি ২ কপি। এসএসসি রেজিস্ট্রেশন কার্ড– ফটোকপি ২ কপি। পিতা ও মাতার ভোটার আইডি কার্ড– ফটোকপি ২ কপি। শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধন কার্ড– ফটোকপি ২ কপি। শিক্ষার্থীর পাসপোর্ট সাইয এবং স্ট্যাম্প সাইয ছবি– ৪ কপি। অভিভাবকের পাসপোর্ট এবং স্ট্যাম্প সাইয ছবি– ২ কপি। সিকিউরিটি কোড। আবেদনের সময় এটা মেসেজে পাওয়া যাবে। একটি সচল মোবাইল নম্বর। শিক্ষা বিরতির মূল সনদপত্র (যারা ২০২১ ও ২০২২ সালে ssc পাশ করেছে) কোটার মূল সনদপত্র (যারা কোটায় আবেদন করেছে, তাদের জন্য)

Spread the love

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button
Don`t copy text!